079 সূরা আন নাযিয়াত আরবি النّزعت Surah An Naziat ❤ FAHAD HOSSAIN ▶ mahfuz art of nature
44,185 views
0

 Published On Dec 26, 2023

সূরা নাযিয়াত। সূরার অর্থ : প্রচেষ্টাকারী।
সূরা নং : ৭৯ রুকু সংখ্যা : ২
আয়াত সংখ্যা : ৪৬ সিজদা সংখ্যা : ০
শব্দ সংখ্যা : ১৭৯ পারার সংখ্যা : ৩০
অক্ষর সংখ্যা : ৭৬২ শ্রেণী : মাক্কী।


بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ

শুরু করছি আল্লাহ তা’আলার নামে, যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু ।

(١) وَٱلنَّٰزِعَٰتِ غَرْقًا

(১) শপথ সেই ফেরেশতাগণের, যারা নির্মমভাবে আত্মা উৎপাটন করে,

(٢) وَٱلنَّٰشِطَٰتِ نَشْطًا

(২) শপথ তাদের, যারা আত্মার বাঁধন খুলে দেয় মৃদুভাবে;

(٣) وَٱلسَّٰبِحَٰتِ سَبْحًا

(৩) শপথ তাদের, যারা সম্ভরণ করে দ্রুতগতিতে,

(٤) فَٱلسَّٰبِقَٰتِ سَبْقًا

(৪) শপথ তাদের, যারা দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয় এবং

(٥) فَٱلْمُدَبِّرَٰتِ أَمْرًا

(৫) শপথ তাদের যারা সকল কর্ম নির্বাহ করে, কিয়ামত অবশ্যই হবে।

(٦) يَوْمَ تَرْجُفُ ٱلرَّاجِفَةُ

(৬) যেদিন প্রকম্পিত করবে প্রকম্পিতকারী,

(٧) تَتْبَعُهَا ٱلرَّادِفَةُ

(৭) অতঃপর পশ্চাতে আসবে পশ্চাৎগামী;

(٨) قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ

(৮) সেদিন অনেক হৃদয় ভীত-বিহ্বল হবে।

(٩) أَبْصَٰرُهَا خَٰشِعَةٌ

(৯) তাদের দৃষ্টি নত হবে।

(١٠) يَقُولُونَ أَءِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِى ٱلْحَافِرَةِ

(১০) তারা বলে, আমরা কি পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হবই,

(١١) أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمًا نَّخِرَةً

(১১) গলিত অস্থি হয়ে যাওয়ার পরও?

(١٢) قَالُوا۟ تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ

(১২) তারা বলে, তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে।

(١٣) فَإِنَّمَا هِىَ زَجْرَةٌ وَٰحِدَةٌ

(১৩) অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ,

(١٤) فَإِذَا هُم بِٱلسَّاهِرَةِ

(১৪) তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে।

(١٥) هَلْ أَتَىٰكَ حَدِيثُ مُوسَىٰٓ

(১৫) মুসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌঁছেছে কি?

(١٦) إِذْ نَادَىٰهُ رَبُّهُۥ بِٱلْوَادِ ٱلْمُقَدَّسِ طُوًى

(১৬) যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র ভুয়া উপত্যকায় আহ্বান করেছিলেন,

(١٧) ٱذْهَبْ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُۥ طَغَىٰ

(১৭) ফেরাউনের কাছে যাও, নিশ্চয়ই সে সীমালঙ্ঘন করেছে।

(١٨) فَقُلْ هَل لَّكَ إِلَىٰٓ أَن تَزَكَّىٰ

(১৮) অতঃপর বলো, তোমার পবিত্র হওয়ার আগ্রহ আছে কি?

(١٩) وَأَهْدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخْشَىٰ

(১৯) আমি তোমাকে তোমার পালনকর্তার দিকে পথ দেখাব, যাতে তুমি তাকে ভয় করো।

(٢٠) فَأَرَىٰهُ ٱلْءَايَةَ ٱلْكُبْرَىٰ

(২০) অতঃপর সে তাকে মহা-নিদর্শন দেখাল।

(٢١) فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ

(২১) কিন্তু সে মিথ্যারোপ করল এবং অমান্য করল।

(٢٢) ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَىٰ

(২২) অতঃপর সে প্রতিকার চেষ্টায় প্রস্থান করল।

(٣٢) فَحَشَرَ فَنَادَىٰ

(২৩) সে সকলকে সমবেত করল এবং সজোরে আহ্বান করল,

(٣٤) فَقَالَ أَنَا۠ رَبُّكُمُ ٱلْأَعْلَىٰ

(২৪) এবং বলল, আমিই তোমাদের সেরা পালনকর্তা।

(٢٥) فَأَخَذَهُ ٱللَّهُ نَكَالَ ٱلْءَاخِرَةِ وَٱلْأُولَىٰٓ

(২৫) অতঃপর আল্লাহ তাকে ইহকালের ও পরকালের শাস্তি দিলেন।

(٢٦) إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَىٰٓ

(২৬) যে ভয় করে তার জন্য অবশ্যই এতে শিক্ষা রয়েছে।

(٢٧) ءَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ ٱلسَّمَآءُ بَنَىٰهَا

(২৭) তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন, না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?

(٢٨) رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّىٰهَا

(২৮) তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।

(٢٩) وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَىٰهَا

(২৯) তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যালোক প্রকাশ করেছেন।

(٣٠) وَٱلْأَرْضَ بَعْدَ ذَٰلِكَ دَحَىٰهَآ

(৩০) পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।

(٣١) أَخْرَجَ مِنْهَا مَآءَهَا وَمَرْعَىٰهَا

(৩১) তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাস নির্গত করেছেন,

(٣٢) وَٱلْجِبَالَ أَرْسَىٰهَا

(৩২) পর্বতকে তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন,

(٣٣) مَتَٰعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَٰمِكُمْ

(৩৩) তোমাদের ও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপকারার্থে।

(٣٤) فَإِذَا جَآءَتِ ٱلطَّآمَّةُ ٱلْكُبْرَىٰ

(৩৪) অতঃপর যখন মহাসংকট এসে যাবে।

(٣٥) يَوْمَ يَتَذَكَّرُ ٱلْإِنسَٰنُ مَا سَعَىٰ

(৩৫) অর্থাৎ যেদিন মানুষ তার কৃতকর্ম স্মরণ করবে

(٣٦) وَبُرِّزَتِ ٱلْجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ

(৩৬) এবং দর্শকদের জন্য জাহান্নাম প্রকাশ করা হবে,

(٣٧) فَأَمَّا مَن طَغَىٰ

(৩৭) তখন যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন না করেছে;

(٣٨) وَءَاثَرَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا

(৩৮) এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়েছে,

(٣٩) فَإِنَّ ٱلْجَحِيمَ هِىَ ٱلْمَأْوَىٰ

(৩৯) তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।

(٤٠) وَأَ مَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِۦ وَنَهَى ٱلنَّفْسَ عَنِ ٱلْهَوَىٰ

(৪০) পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার রবের সামনে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেছে এবং খেয়াল-খুশি থেকে নিজেকে নিবৃত্ত রেখেছে;

(٤١) فَإِنَّ ٱلْجَنَّةَ هِىَ ٱلْمَأْوَىٰ

(৪১) তার ঠিকানা হবে জান্নাত।

(٤٢) يَسْـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلسَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَىٰهَا

(৪২) তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, কিয়ামত কখন হবে?

(٤٣) فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَىٰهَآ

(৪৩) এর বর্ণনার সাথে আপনার কী সম্পর্ক?

(٤٤) إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَىٰهَآ

(৪৪) এর চরম জ্ঞান আপনার পালনকর্তার কাছে।

(٤٥) إِنَّمَآ أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخْشَىٰهَا

(৪৫) যে একে ভয় করে, আপনি তো কেবল তাকেই সতর্ক করবেন।

(٤٦) كَأَ نَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوٓا۟ إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَىٰهَا

(৪৬) যেদিন তারা একে দেখবে; সেদিন তাদের মনে হবে যেন তারা দুনিয়াতে মাত্র এক সন্ধ্যা অথবা এক সকাল অবস্থান করেছে।

show more

Share/Embed