Published On Jun 9, 2022
নবী করিম সা:-এর জীবদ্দশায় যেমনি তাঁকে কোনোভাবে কষ্ট দেয়া জায়েজ নেই, তেমনিভাবে নবীজী সা:-এর ইন্তেকালের পরও তাঁকে কষ্ট দেয়া হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নবীকে কষ্ট দেয়া তোমাদের জন্য জায়েজ নয় এবং এটাও জায়েজ নয় যে, তাঁর ইন্তেকালের পর তোমরা তাঁর স্ত্রীদের বিয়ে করবে। আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা গুরুতর ব্যাপার’ (সূরা আহজাব : ২২)।
যারা নবীজী সা:-কে কষ্ট দেয় তারা দুনিয়াতেও শাস্তি ভোগ করে আর আখেরাতে আছে তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। পবিত্র কুরআনের অনেক স্থানে এ কথাগুলো বিবৃত হয়েছে।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়। আল্লাহ তো তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে অভিশপ্ত করেন এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি’ (সূরা আহজাব : ৫৭)।
‘তারা কি জানে না, কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করলে সিদ্ধান্ত স্থির রয়েছে যে তার জন্য জাহান্নামের আগুন, যাতে সে সর্বদা থাকবে, এটা তো চরম লাঞ্ছনা! (সূরা তাওবা : ৬৩)
‘তুমি যদি তাদের জিজ্ঞেস করো, তবে তারা অবশ্যই বলবে, আমরা তো হাসি-তামাশা ও ফুর্তি করছিলাম। বলো, তোমরা কি আল্লাহ, আল্লাহর আয়াত ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ফুর্তি করছিলে? (সূরা তাওবা : ৬৫)
‘আর যে ব্যক্তি তার সামনে হেদায়েত স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করবে, আমি তাকে সে পথেই ছেড়ে দেবো, যা সে অবলম্বন করেছে। আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব, যা অতি মন্দ ঠিকানা।’ (সূরা নিসা : ১১৫)।
এ জন্য যারা নবীকে কষ্ট দেয় তাদের জন্য দুনিয়াতে আল্লাহর অভিশাপ আর আখেরাতে অপমানকর শাস্তি। কত বড় হতভাগা সেই ব্যক্তি, যার ওপর আল্লাহ অভিশাপ বর্ষণ করেন।
তাই তো যারা অতীতে ও বর্তমানে নবীজী সা:-কে কষ্ট দিয়েছে, তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র করেছে, তারা দুনিয়াতে অপমানজনকভাবে ধুঁকে ধুঁকে ধ্বংস হয়েছে। আর আখেরাতে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন শাস্তি।